মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন

পাথরঘাটায় মায়ের স্বপ্ন পুরনে হেলিকপ্টারে চড়ালেন প্রবাসী ছেলে

পাথরঘাটায় মায়ের স্বপ্ন পুরনে হেলিকপ্টারে চড়ালেন প্রবাসী ছেলে

পাথরঘাটায় মায়ের স্বপ্ন পুরনে হেলিকপ্টারে চড়ালেন প্রবাসী ছেলে

বামনা প্রতিনিধি:

বৃদ্ধ মায়ের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চরবেন। মায়ের যেই স্বপ্ন ছেলের সেই কাজ। কয়েকদিন আগে বৃদ্ধ মা মোসা জোবেদা বেগমের ছেলে ইতালি প্রবাসী মো. ইউসুফ আলী দেশে আসেন। এর কয়েক দিন পরেই সেই স্বপ্ন পুরনের জন্য মাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হেলিকপ্টার বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য সেই হেলিকপ্টার নিজ গ্রামে নিয়ে আসেন ইউসুফ আলী আকন। হাজারো উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় মায়ের স্বপ্ন পুরণ করতে আসা হেলিকপ্টার ও ইউসুফ আলীকে দেখার জন্য।

ইউসুফ আলী বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিন হোগলাপাশা এলাকার মরহুম হাজী আব্দুল মান্নান আকন এর ছেলে। তিনি তার মাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দিবেন বলেও জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চার পাশে গ্রাম তার মধ্যখানে ধান ক্ষেত। তার মাঝ খানেই রয়েছে বালু ফালানো বিশাল একটি মাঠ। সবুজ সমারোহের মাঝখানে তৈরি সেই হেলিপ্যাড। দল বেঁধে ফসলি জমির মধ্যখানের সেই হেলিপ্যাডে নারী-পুরুষ ছুটে আসছেন। ইতালী প্রবাসী ইউসুফ আলী সেই মাঠে মাকে নিয়ে অপেক্ষা করছেন হেলিকপ্টারের জন্য। এর কিছু পরেই আকাশ থেকে ভেসে আসে হেলিকপ্টারের শব্দ। হৈ চৈ পড়ে যায় পুরো এলাকায়। উৎসুক নারী পুরুষ ও শিশুরা তাকিয়ে থাকেন আকাশের দিকে। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই হেলিকপ্টার মাঠে নামেন অবতরন এবং মাকে তার গাড়ির মধ্যে থেকে নামিয়ে হেলিকপ্টারে নিয়ে বসান তিনি।

ইতালি প্রবাসী ইউসুফ আলী বলেন, আমি প্রবাসে নিজের ব্যাবসা নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত থাকি, যখনই সামান্য সুযোগ পাই মায়ের কাছে চলে আসি। আমার মা শতবর্ষী একজন বৃদ্ধা তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিতে হবে। ঢাকায় নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আমার ভাই-বোনরা বলেন মাকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে নিয়ে যেতে। মা একসময় শখ প্রকাশ করে এ কথা ছেলেদের জানিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি, তাই এ ব্যবস্থা করা। আমার বাবা কিছু দিন পূর্বে ইন্তেকাল করেন, তাঁর সাওয়াবের জন্য আমি একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমি চাই যে কোনো মূল্যেই হোক আমার মায়ের সকল প্রয়োজন কিংবা শখ মিটিয়ে নিতে, যেন আমাদের মনে কোনো আফসোস না থাকে। আমি দেশে আসলে আমার মায়ের খাবার থেকে শুরু করে সকল কিছুই নিজ হাতে করে দেই।

মা মোসা. জোবেদা বেগম জানান, আমি যখন যা চেয়েছি আমার ছেলে সব কিছুই করেছে। সব শেষে আমার হেলিকপ্টারে চরে আকাশ দেখার সখটাও আল্লাহর মেহেরবানীতে আমার ছেলে পুরন করেছেন। তার ছেলে ইউসুফ আলীর জন্য সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।

ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম খান সোহাগ জানান, ইউসুফ আলীর পিতা-মাতার প্রতি সেবা ভক্তির মাধ্যমে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ 01774937755 অথবা ই-মেইল: kathaliabarta.com












All rights reserved@KathaliaBarta 2016-2025
Design By Rana